নিউজ ডেস্ক:
সিকিমের ডোকালাম নিয়ে চীনের উপরে পাল্টা চাপ বাড়িয়ে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব সীমান্তে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়াল ভারত। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে অভ্যন্তরীণ সতর্কতাও।
জারি করা হয়েছে অপারেশন অ্যালার্টও। আর এর মাধ্যমে চীনের চোখ রাঙানিকে ভয় না পাওয়ার ইঙ্গিতই দিল ভারত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, শুক্রবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সক্ষম। ডোকালাম সঙ্কট নিয়ে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে জেটলির উত্তর ছিল, ‘‘আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে তৈরি। ’’ তার পরেই চীন সীমান্তে সেনার গতিবিধি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। তাদের বক্তব্য, চীনের চোখ রাঙানিকে ভারত যে ভয় পায় না, তা বোঝাতেই এমন পদক্ষেপ।
এরই মধ্যে বিমস্টেক-এর সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে কাঠমান্ডু গিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। চীনকে কোণঠাসা করতে বিমস্টেক-এর এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছেন সুষমা। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকেই তিনি দেখা করেছেন ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামচো দরজির সঙ্গে। ডোকালাম নিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে সুষমা এবং দামচো-র এটিই প্রথম বৈঠক। ফলে দুই মন্ত্রীর এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেছেন কূটনীতিকরা।
বৈঠকে দামচোকে আশ্বাস দিয়ে সুষমা জানান, ভুটানের সার্বভৌমত্বে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না ভারত। ভুটানও জানিয়েছে, ডোকালাম তাদের এলাকা। সেখানে রাস্তা তৈরি করে চীনা সেনা ভুটানের সার্বভৌমত্বে হাত দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার দুই মন্ত্রীর বৈঠকের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে। বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে বিদেশমন্ত্রী দেখা করলেন ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামচো দরজির সঙ্গে। ’’
বৈঠকের পরে দামচো বলেন, ‘‘আলোচনা এবং আপসের মাধ্যমেই ডোকালাম পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আমাদের আশা। ’’
ভারত-ভুটান ছাড়াও বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং থাইল্যান্ড। বঙ্গোপসাগর এলাকার এই সাতটি দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক লেনদেন তৈরি করাই বিমস্টেক বৈঠকের লক্ষ্য। এখানেও যে ডোকালামের ছায়া পড়বে, তা এক রকম জানাই ছিল। এই পরিস্থিতিতে এ দিন ভুটানের পাশাপাশি অন্য দেশগুলিকেও কাছে টানতে চেষ্টার কমতি করেননি সুষমা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা