ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের বৃহত্তম উপজেলা ফুলপুর। অত্র উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১২ – ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ রাইসুল হুদা ভুইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে। তখন অত্র প্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ ৩৯ জন মেডিকেল অফিসার কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে উনার স্থলাভিষিক্ত হন ডাঃ পরিমল কুমার পাল। দুঃখজনক হলেও সত্য যে কিছুদিন পর থেকেই চিকিৎসকগন বদলি হওয়া শুরু করেছেন। বর্তমানে শেষ বদলি পর্যন্ত মোট চিকিৎসক রয়েছেন ০৫ জন। একসময় যে হাসপাতালের সেবায় সাধারণ জনগন উৎসুক ছিল আজ সেখানে উল্টো। বহির্বিভাগে আগত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বহির্বিভাগে বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের রুমে তালা ঝুলানো থাকে এবং কয়েকটি রুমে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট চিকিৎসা প্রদান করে। অত্র হাসপাতালে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদেরও একই অভিযোগ, এখন আর ডাক্তার এখানে পোস্টিং নিয়ে আসেনা। যারা আছে তারাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যত্র হইতে বদলি হয়েও এখানে কেও আসতে নারাজ কারন জানতে চাইলে তারা বলে এসবই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কর্মফল। চিকিৎসক শূন্যতার কারনে জরুরি বিভাগে আগত সাধারণ রোগীদেরও রেফার করা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যার ফলশ্রুতিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থিত প্রাইভেট চেম্বারে দেখা যায় উপচেপরা ভীড়। যে কারনে অত্র হাসপাতালে আগত অসহায়, হতদরিদ্র সাধারণ রোগীরা নুন্যতম স্বাস্থ্য সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ জনগনের এই দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন ও নীতি নির্ধারকগন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে কি আদৌ মুক্তি পাওয়া সম্ভব …??? প্রশ্ন ফুলপুর উপজেলার সাধারণ জনমানুষের।