চিকিৎসকদের ওপর হামলাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় যা যা করণীয় করা হবে। দায়ীদের দ্রুততম সময়ে আটক করা হবে। তাদের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছি। ’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুখেই বলা হয়েছে কর্মবিরতি, কিন্তু যার অধীনে যে রোগী ছিলেন তাদের সেবা দেওয়া হয়েছে। ’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, চিকিৎসকরা কথা দিয়েছেন, এখন থেকে সেবা চালু করবেন। কমপ্লিট শাটডাউন এখন নেই। জরুরিসহ সব সেবা চালু হবে এখন।
আবাসিক চিকিৎসক আবদুল আহাদ বলেন, বিভাগীয় হাসপাতালে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্যের কথা জানিয়েছেন উপদেষ্টা। জরুরি অপারেশন হবে যত ডাক্তার ততজন নিরাপত্তা দেওয়ার শর্তে, যেখানে দিতে পারবে নিরাপত্তা সেখানে শুরু হবে সেবা। আগামীকাল রাত ৮টার পরে আবারও শাটডাউন শুরু হবে যদি দাবি না মানা হয়। আউটডোর সেবা সাতদিন বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু থাকবে শর্ত সাপেক্ষে। যত চিকিৎসক তত নিরাপত্তা কর্মী থাকার শর্তে, যদি এখন শর্ত পূরণ হয় তবে জরুরি সেবা চালু হবে। বিলম্ব হলে দায় সরকারের।
ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমন রানা বলেন, অনিরাপদ অবস্থায় নিজেকে অরক্ষিত রেখে কীভাবে ডাক্তার সেবা দেবে। দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে হামলা হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক, আমরাও চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করবো।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলেও রাষ্ট্রপতি এখনো আছেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী আইন করা সম্ভব। পরবর্তী সরকার চিকিৎসক সুরক্ষা আইন আইন পাস করবে। ’