নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গ্র্যাজুয়েটগণ যাতে তাদের মেধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) ৪র্থ সমাবর্তন-২০১৭’র অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের প্রয়োজন দক্ষ ও দক্ষ মানব সম্পদ। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ ও নিশ্চিত করে তুলতে পারলে তা হবে আমাদের জন্য আর্শিবাদ। তিনি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাকরির পাশাপাশি স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ ও সম্ভাবনা এখনো সেভাবে ব্যবহার করা যায়নি এ কথা উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের সব প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দু হবে নব প্রজন্মের উন্নয়ন। কারণ একটি জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তরুন প্রজন্মের শিক্ষার উপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার তরুন প্রজন্মকে দক্ষমানব সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর সুফল আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ প্রাথমিক থেকে উচ্চস্তরে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভিশন-২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। গোটা বিশ্ব আজ তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এ প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে তরুন প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, বিইউপি সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একাডেমিক শিক্ষা ছাড়াও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রদানে সচেষ্ট থাকবে।
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদেরকে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ ও আত্ম মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে আত্মনিয়োগ করতে বলেন। রাষ্ট্রপতি এখানে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আশা পোষন করেন যে এর মাধ্যমে নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।
পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু চেয়ার উদ্বোধন করেন ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ঘুরে দেখেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর আবদুল মান্নান, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল এম সালাহউদ্দিন মিয়াজী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সেনাবাহিনী পরিচালিত বিইউপি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চলতি বছর ২২ শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক লাভ করে।