তিনি বলেছেন, অবিলম্বে গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতার বিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে।
তিনি আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত বন্ধ ও গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. ইরান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণতন্ত্র ও মানবতার বিজয় হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী, মানুষ হত্যাকারী, দুর্নীতি দুঃশাসন লুটপাট ও অর্থপাচারকারী শেখ হাসিনার সিন্ডিকেট সরকার পালিয়ে গিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের মুখোশ পরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হটিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে চক্রান্ত করছে। আওয়ামী অপশক্তি পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়ি-ঘরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সম্প্রতি বিনষ্ট করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চক্রান্ত ঠেকাতে দেশে রাজনৈতিক শক্তি ও আলেম উলামাগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মন্দির পাহারা সহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছে।
তাই আওয়ামী বাকশালি অপশক্তির সকল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম সজিব, কামরুজ্জামান চৌধুরী মুকুল, প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, ছাত্র মিশন কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।