নিউজ ডেস্ক:
কেউ মিষ্টি দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না। আবার কেউ নোনতা খাবার দেখলেই তা খেতে ইচ্ছা করে। কেউ আবার ভোগেন শুধু মাত্রই চায়ের নেশায়। আপনি কোন দলে পড়েন। কেন এমনটা হয় কখনো ভেবেছেন।
নিউট্রিশনিস্টরা বলেন, এই ধরণের লক্ষণ দেখে বোঝা যায়, শরীরে কোন বিশেষ উপাদানের ঘাটতি হয়েছে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, এই সমস্যা সমাধানের উপায়ও-
১। মিষ্টি-
শরীরে ভিটামিন বি১২ বা প্রোটিনের ঘাটতি হলে মিষ্টি দেখলেই খাই খাই বাড়ে। টাটকা ফল, সব্জি, দারচিনি ডায়েটে রাখলে এই খাই খাই কেটে যাবে।
২। চা বা কফি-
শরীরে সালফারের ঘাটতি হলে চা, কফির নেশা বাড়ে। পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি ডায়েটে রাখুন।
৩। চিজ-
এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি হলে চিজ দেখলেই খেতে ইচ্ছা হয়। ডায়েটে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন ফ্লাক্সসিড অয়েল, বাদাম তেল, চিয়া সিডস, আখোরট রাখলে সমস্যা মিটবে।
৪। পাস্তা বা প্যাস্ট্রি-
শরীরের প্রয়োজনীয় ট্রেস এলিমেন্ট ক্রোমিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের খাবার দেখলে খাই খাই করি আমরা। পেঁয়াজ, টোম্যাটো, দারচিনি, আঙুর, আপেল বেশি করে খেলে এই ঘাটতি সামাল দিতে পারবেন।
৫। ব্রেড বা টোস্ট-
শরীরে নাইট্রোজেনের ঘাটতির কারণে ব্রেড বা টোস্ট খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। ডায়েটে যত বেশি সম্ভব প্রোটিন, সবুজ শাক-সব্জি, ফল, শুকনো বীজ ও বাদাম রাখলে এই ঘাটতি মেটাতে পারবেন।
৬। পপকর্ন-
অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে অনেকেই বেশি পপকর্ন খান। ডায়েটে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি ও বি ভিটামিন স্ট্রেস বশে রাখতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সব্জি বেশি করে খান।
৭। চকোলেট-
শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি থাকলে চকোলেট খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। দানাশস্য, শুকনো বীজ, কোকো পাউডার, বাদাম ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে পারে।
৮। নোনতা-
শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, পিএমএস ও ডিহাইড্রেশনের কারণে নোনতা খাবার বা নুন খেতে ইচ্ছা হয়। ডায়েটে আদা, রসুন, গোলমরিচ, লেবু, ভিনিগার রাখলে এই সমস্যা কাটাতে পারবেন।