বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ভারতে সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিবেশী দেশের মতো হবে, নাকি অন্য কোনো পর্যায়ের তিক্ততার হবে সেটা ভারত-ই তাদের কাজে মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। তাদের নির্ধারণ করতে হবে, আমার একজন ভাইয়ের লাশ ওই সীমান্তে পড়ে থাকবে কি না। যদি পড়ে থাকে, তবে ওই লাশই নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে।
শুক্রবার দুপুরে বগুড়ায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সারজিস বলেন, শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যে কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হবে সম্মানের, সমতার। দাসত্বের সম্পর্ক বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো দিন মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, ভারত যদি মনে করে, বিগত ১৬ বছরে তারা আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে শুষে খেয়েছে; এই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ আর দেবে না। এর জন্য এতো মানুষ জীবন দেয়নি।
এ সময় ‘পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়ার’ সংবাদ পরিবেশনের নিন্দা জানিয়ে সারজিস বলেন, পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়া নামের দাস, তাদেরকে দেওয়া স্ক্রিপ্টগুলো পড়ছে। তাদের ব্যক্তি, মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই। এগুলোকে কোনোভাবেই মিডিয়া বলা যায় না। এদের পাত্তার দেওয়ার মতো সময় আমাদের নেই।
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই প্রশ্নে তিনি বলেন, পাঁচ আগস্ট এতো জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে নতুন স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে সেটার প্রত্যাশার পারদ ছিলো সর্বোচ্চ লেভেলে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার লেভেল পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করি, সরকার স্ট্যান্ডার্ড লেভেল পর্যন্ত বজায় রাখবে। এখন এটাই হচ্ছে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের সিস্টেমগুলো ভাঙতে হচ্ছে। নতুন করে ভালো মানুষগুলোকে ওই জায়গাতে বসাতে হচ্ছে। এ কারণে কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর ফলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
এদিন বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়াটারে অবসরে যাওয়া এক কলেজ শিক্ষকের বাসায় মা-বাবাসহ আসেন সরাজিস। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন না করার অনুরোধ জানান তিনি। তবে এ ব্যাপারে মুখ খোলেন নাই ওই শিক্ষক পরিবারের কেউ।