নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে উত্তাপ ছড়িয়ে ধারাবাহিক ভাবে ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আর তারই জের ধরে কিমের সর্বশেষ মিসাইল হামলার পর চীন ও রাশিয়ার সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ব্যাপারে সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলেরসন জানিয়েছেন, চীন উত্তর কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানি করে। উত্তর কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি কর্মচারী রাশিয়ার। ফলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণের পর পর এই দুই দেশের চুপ থাকা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, পিয়ংইয়ংয় স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাপানের উপর দ্বিতীয়বারের মতো মিসাইল ছোঁড়ে। ব্যালিস্টিক মিসাইল ও পরমাণু অস্ত্রের উপর জাতিসংঘ অষ্টমবার নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এই হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া।
টিলেরসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এই ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ার পর সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর জন্য প্রতিটি দেশেকে কিমের সরকার নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা উচিত। এইভাবে ক্রমাগত প্রলোভনের জবাব হিসেবে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা কাম্য বলে মনে করেন তিনি।
তবে এ নিয়ে এখনও হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কিছু বলেননি। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অনুরোধে একটি ক্লোজ ডোর বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার বেলা ৩টা নাগাদ এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
কিমের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রসঙ্গে সিওলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, শেষ যে মিসাইলটি ছাড়া হয়েছে সেটি প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে। এর উচ্চতা ছিল ৭৭০ কিলোমিটার। আগস্টে হওয়াসং-১২ আইআরবিএম নামে যে মিসাইলটি ছোঁড়া হয়েছিল, এটি তার থেকে উচ্চতর। মিসালইলটি জাপানের ১,২০০ মাইল পূর্বে মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল মহড়ায় নেমে পড়েছে বলেও জানা গেছে।
চলতি বছরে উত্তর কোরিয়া অনেকগুলো মিসাইল পরীক্ষা করে। তার এই পদক্ষেপে কড়া নজর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এর আগে, জাপানকে ডুবিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। জাপানে বিধ্বংসী পরমাণু হামলা চালানোর হুমকিও দেওয়া হয়েছে।