রাকিবুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ধোপাকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত ডাকবাংলো ভবন অযতœ-অবহেলায় পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ডাক-বাংলোর ইট-প্লাস্টার ও দরজা-জানালা খসে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবত ডাক-বাংলোটি থাকার অনুপোযোগী হলেও বর্তমানে উপজেলায় কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় জীবনের ঝুঁকিতে রাত্রী যাপন করেছেন অনেক অতিথি। শুধু তাই নয়, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এবং প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ডাক বাংলোটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল এলাকা নিয়ে ওই ডাকবাংলোটি তৈরি করা হয়। ডাকবাংলো তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল, এলাকায় কোনো রাষ্ট্রীয় অতিথি এবং দেশি-বিদেশি পর্যটক এলে সরকারিভাবে এই ডাকবাংলোতে বিশ্রাম ও রাত্রী যাপন করবেন। বাংলোয় একতলা একটি ভবন এবং কেয়ারটেকার থাকার জন্য পৃথক একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দশ বছর ধরে ডাকবাংলোটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে আছে। অযতœ-অবহেলায় এর চার পাশ বন-জঙ্গলে ছেয়ে গেছে এবং ভবনের ইট-প্লাস্টার খসে দরজা-জানালা খুলে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, কামারখন্দ উপজেলায় আগে থেকেও কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত্রী যাপন করতেন, কিন্তু বর্তমানে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোন অতিথি আসলে ডাক-বাংলোর অবস্থা দেখে সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে অবস্থান নেন। এলাকাবাসীর দাবী ডাক-বাংলোটি দ্রুত সংস্কার হলে উপজেলাটি উন্নয়নের অগ্রগতির ভ’মিকা রাখবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল হাসান আমিনুল জানান, ডাক-বাংলোটি আমি সম্প্রতি পরিদর্শন করেছি। এটির অবস্থা আসলেই বেহাল থাকার অনুপযোগী। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এই পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন করে একটি দ্বিতীয় শ্রেণী মানের ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। কামারখন্দ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, আমি এই এলাকায় নতুন যোগদানের পর কোন অফিস না থাকায় অস্থায়ী ভাবে ওই ডাক-বাংলোতে অবস্থান করি। ডাক-বাংলোটি থাকার একেবারেই অনুপযোগী আমি বাথরুম, টয়লেট, ইলেট্রিক সহ আরো অন্যান্য কাজ করে ঝুঁকি নিয়েও কিছুদিন ছিলাম। ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।