কচুয়ায় বিলের মাঝে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ

0
9

মো: মাসুদ রানা(কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আইনপুর-সফিবাদ বিলের মধ্যখানে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ। যেখানে একটু ছায়াতলে এসে বিশ্রাম নেন কৃষকরা। তবে এ বটগাছ নিয়ে নানা কৌতুহলী জনসাধারনের মাঝে। অনেকে ভয়ে যেতে চান না বট গাছের ছায়তলে। অর্ধশতবর্ষী বটগাছের সন্ধান মেলে কচুয়া-সাচার সড়কের পালাখাল এলাকার পূর্ব বিলে। যা কিনা ওই বিলের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, বটগাছের বয়স ৫০ বছরের বেশি হবে এবং বট গাছ কেন্দ্রীক এ বিলের কৃষকরা এখন বিশ্রাম নেয়। প্রাচীনতম বটবৃক্ষ আর ছোট একটি ডোবা রয়েছে পাশে। বটগাছের নিচে গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ শীতল ছায়ার আশায় জড়ো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী মো. কামরুল ইসলাম নামের একজন ব্যক্তি প্রায় ৫০বছর পূর্বে এ বটগাছটি রোপন করেন। কিন্তু তিনি মারা গিয়েছেন। বর্তমানে এখনো দাড়িয়ে আছে এ বটগাছ। বিলের মাঝখানে বটগাছটি নিজের শাখা-প্রশাখা নিয়ে সুবিস্তীর্ণ ভাবে দাড়িয়ে আছে ।

যদিও পুরো বিলে মাত্র একটি বটগাছ। রবি শস্য মৌসুম ও গ্রীষ্মের তাপদাহে অনেক কৃষক ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন বিশ্রামের জন্য বটগাছের ছায়াতলে আসেন। ওই স্থানে কৃষকদের জন্য পানি পানের জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন ও নামাজের স্থান নির্মান করা হয়। যাতে করে কৃষকরা নামাজ আদায় ও বিশ্রাম নিতে পারেন। বটগাছের উপকারীতা ব্যাপক এবং এইসব বটগাছ সংরক্ষণে সবার সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

আইনপুর গ্রামের অধিবাসী মোজাম্মেল তালুকদার সহ একাধিক লোকজন জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখছি, বিলের মাঝে এ বটগাছ। তবে কে বা কাহারা এটি রোপণ করেছে তা আমরা জানি না। শুনেছি, এখানে নাকি দুপুর কিংবা রাতের বেলা আসা যায় না। অনেকে ভয়ে আসতে চায় না।

পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন চৌধুরী জানায়, ওই বিলে বট গাছ অনেক পুরোনো এবং এই বট গাছ অনেক উপকার করে আমাদের। আমরা প্রায়শই বট গাছের নিচে বিশ্রাম করে থাকি। এই বটগাছ এখানে নিজস্ব ইতিহাস বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। এটি রক্ষা করতে আমাদের সকলের চেষ্টা প্রয়োজন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বটগাছ অনেক উপকারী একটি গাছ। এর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক প্রয়োজন। তাই সবাইকে বটগাছ রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।