সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না টাইগারদের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যারিবিয়ান মাটিতে পা রেখেছিল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজ ড্রয়ের পর আবার ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু মধুর প্রতিশোধের উপলক্ষ্য হয়ে এলো টি-২০ সিরিজ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে লিটন দাসের দল। ক্যারিবিয়ানদের তাদেরই মাটিতে আজ ২৭ রানে হারিয়ে অর্ধযুগের এক আক্ষেপও মিটিয়েছেন লিটন-সোম্য-মিরাজরা। সেইন্ট ভিনসেন্টের অ্যারন্স ভ্যালেতে লো স্কোরিং ম্যাচটি জেতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় হলো টাইগারদের।
১৩০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিজের করা প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। টাইগার এই স্পিডস্টারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাসকিনের তোপে দলীয় ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জনসনকে চার্লসকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান। এরপর তিনি ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরাণকেও।
উইকেট নেয়ার উৎসবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবও। এ দুজনও একটি করে উইকেট নিলে ৯ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রোস্টন চেজ।
সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে রিশাদের করা দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাকিয়েছিলেন চেজ। তবে সেই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। চেজ ফিরলে ভাঙে আকিলের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি।
একই ওভারে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন রশাদ। এরপর আলজারি জোসেফকে সাকিব এবং আকিলকে তাসকিন সাজঘরের পথ দেখালে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ৬ বছরে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।