নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন নিধেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে একের পর পরমাণু ও হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার ফল ভুগতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। কিমের দেশকে যোগ্য জবাব দিতে তৈরি আমেরিকা।
উ. কোরিয়ার কাছে মোতায়েন করেছে ২৮ হাজার সৈন্য।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর একথা জানালেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স জ্যামস ম্যাটিস। পিয়ংইয়ং তাদের ষষ্ঠ ও বৃহত্তম বোমাটি সম্প্রতি পরীক্ষা করার পরপরই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের ডাক দেন ট্রাম্প। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাও। ওই বৈঠকের শেষেই জ্যামস মন্তব্য করেন, ‘কিমকে জবাব দেওয়ার মতো প্রচুর অস্ত্র রয়েছে পেন্টাগনের কাছে, কিন্তু দেশটিকে জনশূন্য করার ইচ্ছা নেই আমাদের। ’
ম্যাটিসের ইঙ্গিত, উত্তর কোরিয়ার দোরগোড়ায় আনুমানিক ২৮ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও মার্কিন সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখা হয়েছে জাপানেও। শুধু হাতে নয়, কিমের দেশকে ভাতে মারারও পরিকল্পনাও রয়েছে আমেরিকার।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সহযোগী দেশ চীনের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যে ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প টুইট করেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে সমস্ত দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক শেষ করার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ’ মনে করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে এভাবেই সুর চড়াল আমেরিকা। পেন্টাগন সূত্রের খবর, কিমের দেশকে ঠান্ডা করতে সবরকম দিকই এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে চিনকেও যে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সেনানায়ক কিম জং এমনটা নয়। কারণ, রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পিয়ংইয়ংকে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করতে নিষেধ করেছে বেইজিংও। কিন্তু সে সব কথায় কান দিতে নারাজ কিম। থার্মো-নিউক্লিয়ার বোমাকে কীভাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে বসিয়ে অন্য মহাদেশে পাড়ি দেওয়া যায়, এই নিয়েই এখন নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যা মাথাব্যথা বাড়িয়েই চলেছে আমেরিকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়, যে কিমের হাইড্রোজেন বোমার পালটা জবাব দিতে আমেরিকা কি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে? সরাসরি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিলেও ট্রাম্পের ইঙ্গিত, তিনি এই প্রস্তাবও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ভারতও উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক পরীক্ষার নিন্দা করেছে।