উল্লাসের পরদিনই গাজাবাসীকে হতাশ করল ইসরায়েল

0
1

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েল ও হামাসের একমত হওয়ার খবরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উল্লাসে ফেটে পড়েছেন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা। কিন্তু পরদিনই তাদের হতাশ করল দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য দেশটির মন্ত্রিসভায় যে প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার কথা তা এখনো হয়নি। এতে শঙ্কা বেড়েছে। অন্যদিকে, দেশটি গাজায় হামলা আরও জোরালো করেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার নির্ধারিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি বিলম্বিত করেছেন। তার অভিযোগ, হামাস চুক্তিতে শেষ মুহূর্তের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, অন্যরকম পরিণতি তৈরি হচ্ছে এবং তিনি নিশ্চিত যে, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে।

যদিও ইসরায়েলি আলোচকরা কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। তবে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।

হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, দলটি মধ্যস্থতাকারীদের দ্বারা ঘোষিত চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  তবে বিবিসির কাছে থাকা তথ্যে বোঝা যায়, তারা চুক্তির অধীনে মুক্তি পেতে যাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের তালিকায় তাদের কিছু সদস্যকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।

হামাস জানিয়েছে, যে তারা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু বিবিসি বুঝতে পারে যে তারা চুক্তির অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের তালিকায় তাদের কিছু সদস্যকে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, বুধবার একটি চুক্তি ঘোষণার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে আক্রমণ তীব্র করেছে।

অবরুদ্ধ গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।