নিউজ ডেস্ক:
কোন ভাবেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়াকে। সম্প্রতি অধিক শক্তিশালী ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে দেশটি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রদর্শন এটি। এই ক্ষেপণাস্ত্র অতি বিপজ্জনক! জাপানকে লক্ষ্য করে প্রথম থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এই উক্ষেপণেও জাপানের মূল ভূখণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। জাপানের প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সে আশঙ্কার কথা সরাসরি জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসে মদত ও যুদ্ধবাজ দেশ বলার পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে অধিক শক্তিশালী এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দেশটি। কিম জং উনের ক্ষমতা যে ঠিক কতটা, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি কী করে সামলাতে হয় তা তার জানা আছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসও জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া যা করছে, তাতে সারা বিশ্বে অমঙ্গলের ছায়া নেমে আসছে।
এদিকে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।
কিম জং উনের সে আস্ফালন ভালো চোখে নেয়নি বিশ্ববাসী। বিশ্ব জুড়ে শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার এই কাজ যে রীতিমতো বিপজ্জনক, সে বিষয়ে একমত বিশ্ববাসী। সম্প্রতি পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৯৪০ কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরে গিয়ে আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৪ হাাজর ৫০০ কিলোমিটার। উত্তর কোরিয়ার দাবি, আগের ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত রূপ এটি। ১৩ হাজার ০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতেও। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাযুদ্ধের মধ্যেই এ নিয়ে চলতি বছর ২০টি ব্যলেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া। বরাবরের মতো এবারও কড়া নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক মহল। নিন্দা করেছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এদিন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর প্রকাশ্যে আসতেই পর পর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পাল্টা শক্তিপ্রদর্শন করে দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরপরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে জাপান।