মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১৮৩ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি, এর আগে হামাস তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এটি গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় পঞ্চম বন্দি বিনিময়, জানিয়েছে আল জাজিরা।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনকে গুরুতর শারীরিক অবস্থার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে তারা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন।

শনিবার স্থানীয় সময় সকালে হামাস তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, যার পরপরই ইসরায়েল ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলের কারাগার পরিষেবা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, বিভিন্ন কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং পরে তারা পশ্চিম তীর, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় পৌঁছান।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েল-হামাস চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর অংশ হিসেবে পাঁচবার বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ মার্চের শুরুর দিক পর্যন্ত চলবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি আরও হুমকির মুখে পড়েছে।

হামাস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসরায়েলি জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওফার কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী একটি বাস বের হয়। পরে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছে ৪২ জন বন্দি বাস থেকে নামেন, যেখানে জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে।

ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাদের মিশরে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে অন্য দেশে নির্বাসনে নেওয়া হবে।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে হামাসের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়েছেন। তাদের অন্যতম ইয়াদ আবু শাখদাম (৪৯), যাকে প্রায় ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মুক্তিপ্রাপ্তদের একটি অংশ গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসে পৌঁছায়। তবে সেখানে কয়জন ফিলিস্তিনি পৌঁছেছেন, তা স্পষ্ট নয়।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular