নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বনানীতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি বাহাউদ্দিন ইভানের ডিএনএ এবং ভিকটিমের ইউরিন ও ব্লাড পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই সুলতানা আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এসব পরীক্ষার অনুমতি দেন। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ- সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে এ পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার জব্দকৃত আলামতসমূহ পরীক্ষা অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ইভানের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ওই তরুণী মামলা দায়ের পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১ ও ১১ যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ইভানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শুক্রবার তার সাত দিনের রিমান্ড চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ওই তরুণী ইভানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ইভানের সঙ্গে তার ১১ মাস আগে ফেইসবুকে বন্ধুত্ব হয়। এ বন্ধুত্বের সূত্র ধরে চার মাস আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। গত ৪ জুলাই রাত ৯টায় ইভান তাকে ফোন করে জানায়, তার জন্মদিন এবং জন্মদিনে সে তাকে তার বাসায় যেতে বলে। তাকে তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে এবং তাদের সম্পর্কের কথা মাকে বলবে। টেলিফোনে তার মায়ের পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে বাদিনী এবং তার বোনের কথা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় বাদিনী ইভানের বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে তার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে ইভান বলে, তার মা অসুস্থ, জোরে কথা বলা যাবে না। সকালে পরিচয় করে দেওয়ার কথা বলে ইভান। বাদিনী বাসায় জন্মদিনের কোনো আলামত দেখে না। বাদিনী তার বাসায় ফিরে আসতে চাইলে ইভান তাকে বাসায় আসতে দেয় না। সে তাকে রাতের খাবার খাওয়ায় এবং বারণ সত্ত্বেও নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। এরপর রাত দেড়টার দিকে ইভান ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাদিনী চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকলে সে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার ব্যাগ রেখে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ব্যাগের মধ্যে তিনটা ড্রেস, দুটো জিন্স, একটা কুর্তা, তিনটি মোবাইল, চার্জার, সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড, ১৫ হাজার টাকা ছিল বলে বাদিনী এজাহারে উল্লেখ করেন।
ইভান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আগেও কয়েকবার ধর্ষণ করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদিনী। মুখ খুললে তার কাছে থাকা খারাপ ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।