শুক্রবার (৭ ফেব্রুিয়ারি) হাজারো কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর এ পরিকল্পনা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিল দুটি ইউনিয়ন। পরে শুনানিতে বিচারক কার্ল নিকোলস ‘খুবই সীমিত’ সময়ের জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকরে এ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএসএআইডির বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে মাত্র ৬১১ জনকে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। ওয়াশিংটনে সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে ইউএসএআইডির চিহ্ন সরিয়ে ফেলার পর বিচারক ওই আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টকে (ইউএসএআইডি) ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা রুখতে ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে মামলা করা হয়। মামলার বাদী ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ’ ও ‘আমেরিকান ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’। মামলার ওপর শুনানিতে বিচারক ওই আদেশ দেন।
বিদেশে ইউএসএআইডির মাধ্যমেই মূলত যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটির কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দেশে কাজ করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার অধীন ইউএসএআইডির প্রায় ২ হাজার ২০০ কর্মীকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ৫০০ কর্মীকে এরই মধ্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ইউএসএআইডি দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউএসএআইডির এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে অপরিহার্য হিসেবে মাত্র ৬১১ জনকে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে ইউএসএআইডির চিহ্ন সরিয়ে ফেলার পর বিচারক ওই আদেশ দেন।
শুনানিতে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীদের একজন কার্লা গিলব্রাইড বলেন, ‘ব্যাপকসংখ্যক কর্মীকে অপসারণের পাশাপাশি সংস্থার কার্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া, কর্মীদের জোরপূর্বক অন্যত্র স্থানান্তর—সবই করা হয়েছে নির্বাহী কর্তৃত্বের বাইরে গিয়ে। এটি ক্ষমতা বিভাজন নীতির লঙ্ঘন।’
ওই স্থগিতাদেশ দেওয়ার আগে মার্কিন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ব্রেট শুমেট বিচারক নিকোলসকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার অধীন ইউএসএআইডির প্রায় ২ হাজার ২০০ কর্মীকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ৫০০ কর্মীকে এরই মধ্যে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ইউএসএআইডি দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে।