নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ শাটারগানসহ কুষ্টিয়া মিরপুরের দুই সন্ত্রাসী লুৎফর ও নাদিমকে আটক করেছে। গতকাল সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা মোনাকষা মোড় থেকে সিএনজি যোগে আসার পথে তাদেরকে আটক করে। পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামের মৃত মধু মন্ডলের ছেলে লুৎফর হোসেন (৫৮) ও একই উপজেলার মুচাইনগর গ্রামের রেজাইল হকের ছেলে নাদিম (৪৫) এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। গতকাল সকালে তারা দুজন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিরপুর উপজেলা কামান্ড কুষ্টিয়া ১১-০১৪৫ নং সিএনজি যোগে আলমডাঙ্গায় আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই টিপু সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের মোনাকষা বাজার মোড় থেকে আটক করে। আটকের পর সিএনজি তল্লাশি করে একটি শপিং ব্যাগের মধ্যে রাখা একটি শাটারগান উদ্দার করে তাদেরকে থানা নিয়ে আসে। আটকের পর সন্ত্রাসী লুৎফরের কাছ থেকে জানাযায়, সে আমলা সরকার কলেজের নৈশ্য প্রহরী। মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবু নামের ১ ব্যাক্তিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর জন্য কয়েকদিন আগে সে ভেড়ামারা থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই শাটারগান ক্রয় করে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, খুলনা রেঞ্জের নবাগত ডিআইজ যোগদান করে ৭ দিনের বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই টিপু সুলতান শাটারগানসহ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লুৎফর ও নাদিমকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য থানায় মামলা আছে কি তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটকের ঘটনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফিংয়ে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা শহরের কালিদাসপুর মোনোপাশার মোড়ে একটি সিএনজি থামিয়ে তল্লাসি করা হয়। এসময় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমলা গ্রামের মৃত মধু মন্ডলের ছেলে লুৎফর রহমান (৫০) ও একই থানার মোচাইনগর গ্রামের রেজাউলের ছেলে নাদিম (৪৫) কে আটক করা হয়। এসময় তদের দেহ তল্লাসি করে নাদিমের কাছে থেকে একটি দেশী তৈরী সাটারগান উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, ধারনা করা হচ্ছে তারা কুষ্টিয়ার আমলা থেকে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর গ্রামে তাদের গোপন আস্তানায় যাচ্ছিল। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে তারা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের জড়িত থাকার অভিযোগও আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।