বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজ্যের সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগে, পর পর দুদিন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের জন্য বৈঠক ভেস্তে গেল।
প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুটি প্রধান শর্ত দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তারা চেয়েছিলেন, এই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হোক। ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন তারা। তবে এই দুই শর্তেই আপত্তি জানায় রাজ্য।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে মমতা বলেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যারা সচিবালয়ের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাদের আমি ক্ষমা করলাম। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। সাধারণ মানুষ রং বুঝতে পারেননি। ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ সেটা বুঝবেন।
আজ বিকেল ৫টায় সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সচিবালয়ের গেট পর্যন্ত প্রতিনিধি দল চলেও এসেছিল। কিন্তু তাদের দাবি ছিল, বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। রাজ্য সরকার এতে রাজি না হওয়ায় প্রতিনিধি দল ভেতরে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রাজ্যের চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে আজকের সভা বাতিল করা হয়েছে। ওই ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ডাক্তাররা অভিযোগ তুলেছেন, বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।