কুষ্টিয়ার মিরপুরে আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলার ঈগল চত্বরে দলের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদুল ইসলাম ও স্থায়ী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, চঞ্চল ও আবু সাঈদ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের সমর্থক।
বাকিরা মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খন্দকবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে আলতাব (৪৫), চৌদুয়া গ্রামের ইছাহক আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী জিহাদ (৩২), মিরপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদের ছেলে ইব্রাহিম আলী (৪৯)।
এদের মধ্যে রহমত আলী রব্বানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার মনি নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে সারের বৈধ চালান দেখতে চান সাবেক এমপি শহীদুল ইসলামের সমর্থিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান। চালানের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারার অভিযোগ তুলে ট্রাক আটকে রেখে উপজেলা কৃষি অফিসারকে খবর দেয় রব্বান।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকেরা সার ব্যবসায়ী মনির পক্ষ নিয়ে ট্রাক থেকে জোর করে সার নামিয়ে নেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা শুরু হয়। এরপরই রব্বানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওই স্যার ব্যবসায়ী গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতা রব্বান।
এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে রব্বানের ভাই জাহেদ আলীর সঙ্গে সার ব্যবসায়ীর ছেলে আসিফের বাগ্বিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপি নেতা রব্বানের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আসিফকে মারধর করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর সার ব্যবসায়ীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রব্বান গুরুতর আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, তার দুই ভাই ও ভগ্নিপতিকে আহত করেছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।