নিউজ ডেস্ক:
সকাল বেলা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে অনেকেই শরীরে অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট ব্যবহার করে। কারণ এটি ঘাম প্রতিরোধ করে।
তবে মেডিক্যাল প্রফেশনালদের তথ্যানুসারে, প্রয়োজনীয় এই কাজটি অনেকে ভুল সময়ে করে থাকেন। অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট এর সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে জানিয়েছেন এমবারাইজিং বডি-এর চিকিৎসক ডন হার্পার।
কসমোপলিটনের সঙ্গে আলাপকালে হার্পার, যিনি পার্সপিরেক্স ব্র্যান্ডের অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেছেন, তিনি বলেন, ‘অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট আসলে সকালে ব্যবহার করা উচিত নয়।’
ম্যাগাজিনটিকে তিনি বলেন, ‘রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন, যাতে শুকাতে পারে। সারারাত রেখে সকাল বেলা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।’
অ্যান্টি-পার্সপিরেন্টে সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের কণাগুলো লোমকূপ বন্ধ করে দিয়ে ঘাম হওয়া রোধ করে থাকে। তাই রাতের বেলায় এটি ব্যবহার করলে, দীর্ঘ সময়ে শরীরে ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
হার্পার আরো বলেন, বাইরে যাওয়ার আগে অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট ভালোভাবে শরীরে শুকিয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা ভালো।
অনেকেই ভাবেন, বেশি পরিমানে অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট ব্যবহার করলে ঘাম কম হবে। কিন্তু হার্পার বলেন, ভালো ব্র্যান্ডের অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করাটা যথেষ্ট। উভয় বগলের মধ্যে ওপরে ২ স্ট্রোক এবং নিচে ২ স্ট্রোক লাগান। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করা লাগবে।
অনেকেই মনে করে থাকেন ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট একই জিনিস। আসলে কিন্তু তা নয়। এদের কাজ করার প্রক্রিয়া ভিন্ন। ডিওডোরেন্ট দুর্গন্ধ দূর করে এবং অ্যান্টি-পার্সপিরেন্ট ঘাম রোধ করে।
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল