নিউজ ডেস্ক: অসময়ের বৃষ্টিপাতে আলমডাঙ্গায় অন্তত ১৫ ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিনে শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও গতকাল সন্ধ্যায় থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে ইটভাটায় শুকাতে দেয়া কয়েক কোটি টাকার কাচা ইট গলে নষ্ট হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। পোড়াতে দেয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাঁচা ইটে তাদের ব্যয় হয় সাড়ে ৩ টাকা। এ অর্থনৈতিক ক্ষতি দাঁড়ায় অন্তত ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া আরো অন্যান্য জ্বালানি অসময়ের এ বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে ইটভাটার মালিকেরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ইট পোড়ানোর মৌসুমের শুরুতে এমন লোকসানে ইটভাটার মালিকেরা দিশেহারা।
উপজেলার শহর কেন্দ্রিক মেসার্স এমএসবি ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দেখা যায়, শুকাতে দেওয়া কয়েক লাখ কাচা ইট বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। এছাড়া ইটভাটার ভিতরে পানি ঢুকে পোড়ানোর জন্যে প্রস্তুতকৃত আরো ২ লাখ ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ওই ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক বলেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন ভাটায় ২ লাখ ইট পোড়ানোর জন্য ভাটায় আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু দিনের ঘন্টাব্যাপী টানা বৃষ্টিতে ভাটায় পানি ঢুকে সকল কাঁচা ইট গলে গেছে। এছাড়া ভাটার বাইরে শুকাতে দেওয়া ৬ লাখ কাঁচা ইটও গলে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্রিক্স ফিল্ডে গিয়ে শুকাতে দেওয়া কাঁচা ইট গলে যাওয়ার একই চিত্র দেখা যায়। এ সর্ম্পকে ওই ব্রিক্স ফিল্ডের একজন বলেন, গত বছর ট্রাক্টর বন্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের দুটি ফিল্ডে ৬০ লাখ টাকা লোকসান হয়। পূর্বের লোকসান কাটিয়ে উঠার আগেই হঠাৎ বৃষ্টিতে আবারো দুটি ফিল্ডে প্রায় ৬০ লাখ টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেলো। এছাড়া বৃষ্টিতে কয়লাও নষ্ট হয়েছে। ট্রাক্টর বন্ধ হয়ে যাওয়া ফিল্ডে গত বছরের অবিক্রিত কয়েক লাখ ইট পড়ে আছে। প্রতিটি ইটভাটায় ৮ থেকে ১০ লাখ ইট নষ্ট হয়েছে। পুরো মৌসুমে ইট বিক্রি করেও এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।