বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাসমূহ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। স্থগিত পরীক্ষাসমূহের নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আসলে এখন পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। সেজন্য স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচিতেও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়কে আমরা পরিস্থিতি জানিয়েছি। তারা সে অনুযায়ী আদেশ জারি করে বিষয়টি জানিয়ে দেবেন।
এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিতের আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হলো।
গত ৩০ জুন সিলেট বোর্ড বাদে সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের পরীক্ষা মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি। বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা আটকে গেছে। যদিও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরমধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) এবং আইসিটি। ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক (অপশনাল)।
সর্বশেষ সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৮ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ ও সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বোর্ডগুলো। বোর্ড কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হলো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।