অত্যাবশ্যক, এমন ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়ছে। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওষুধগুলোর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ শনিবার অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানিগুলো কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তর ৫৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে। অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।’
দেশে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় ২১৯টি ওষুধ আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ১১৭টির মধ্যে ৫৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর। তবে কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে, তা কর্মকর্তারা জানাননি। তাঁরা বলেছেন, ওষুধগুলোর নাম ও দাম শিগগির প্রকাশ করা হবে।
একটি সূত্র বলছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় থাকা সব ওষুধ উৎপাদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলো সব ওষুধ উৎপাদন করে না। তারা বলে, এতে লাভ কম। ওষুধ কোম্পানিগুলো এসব ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা বলে আসছিল, যেন এসব ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করে কোনো লোকসান না হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের দাম বাড়ছে।
তবে এমন সময়ে ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে, যখন অনেক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি রয়েছে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামে। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চাপে রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা।